সাতক্ষীরায় শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা, কিশোর আটক

সাতক্ষীরার কাশেমপুর গ্রামে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড—যেখানে মাত্র ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত শিশুটির নাম মোরসালিন, সে স্থানীয় কাশেমপুর সরদারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার সময় সে বাড়ির পাশের পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল, আর সেখান থেকেই শুরু হয় বিভীষিকাময় এক অধ্যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, পারিবারিক একটি ছোটখাটো বিরোধ—যেখানে লেবু বিক্রিকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি হয়েছিল—তা রূপ নেয় নির্মম সহিংসতায়। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবেশী কিশোর মাহফুজুর রহমান শাওন (১৬) ও তার মা নাজমা আক্তার মিলে পরিকল্পিতভাবে মোরসালিনকে পুকুরে চুবিয়ে হত্যা করে। তারা প্রথমে ছেলেটিকে ডেকে নেয়, এরপর পুকুরের পানিতে জোর করে ডুবিয়ে রাখে যতক্ষণ না তার নিথর দেহ পানির উপর ভেসে ওঠে।

ঘটনার পর গ্রামজুড়ে নেমে আসে শোক ও ক্ষোভের ছায়া। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত কিশোর ও তার মাকে ধরে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত বলেই মনে হচ্ছে এবং আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল—একটি ক্ষুদ্র পারিবারিক বিবাদ কীভাবে এক নিষ্পাপ শিশুর প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। গ্রাম বাংলার মাটিতে এমন অমানবিকতা সমাজকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে: কোথায় আমাদের মানবতা, কোথায় নিরাপত্তা?

প্রতিবেদনঃ শফিকুর রহমান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *