
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুরে এক বৃদ্ধাকে (৬৩) শিল দিয়ে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিজ ঘর থেকে বৃদ্ধার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে তাঁর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
নিহত হাসিনা বেগমের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার জোয়ানেরপাড়া গ্রামে। তিনি ধলপুর ওয়াসা রোড সিটি পল্লিতে থাকতেন। হাসিনা বেগমের স্বামী নুরুল ইসলাম ২০ বছর আগে মারা গেছেন। একমাত্র মেয়েকেও বিয়ে দিয়েছেন। ওই মেয়ে গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। ধলপুরের ওই বাসায় একাই থাকতেন তিনি এবং অন্যের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
নিহতের ভাতিজা আশরাফ আলী একই এলাকায় থাকেন। তিনি মোবাইলের মাধ্যমে জানান, ধলপুরের ওই এলাকায় সাজেদুল হক সাজু নামের ওই যুবক ঘোরাফেরা করতেন। তখন হাসিনা বেগমের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক তৈরি হয় এবং তিনি নিজের নাতির মতো তাঁকে দেখতেন। হাসিনাকে বাজারসদাই করে দিতেন এবং তাঁর বাড়িতে থাকতেন। গতকাল শনিবার সকালে শিল দিয়ে হাসিনার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে হত্যা করেন তিনি। এরপর বাইরে থেকে দরজা তালা লাগিয়ে পাশের দোকানে গিয়ে চা পান করছিলেন। কিছুক্ষণ পর আশপাশের লোকজন হাসিনাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিল না। একপর্যায়ে জানালা দিয়ে দেখতে পায় ঘরের ভেতর রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে দোকান থেকে সঙ্গে সঙ্গে সাজেদুলকে ধরে আনা হলে তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় আশরাফ আলী বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ মো. নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সাজেদুল হক সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সাজেদুল একাই তাঁকে হত্যা করেছেন। তবে কেন করলেন, তা এখনো জানা যায়নি।
প্রতিবেদনঃ শফিকুর রহমান