
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সাম্প্রতিক আদালতজট এবং পরে সেটির স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া— পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে। অনেকেই মনে করছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, তা ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, এবং এর পেছনে রাজনৈতিক চাপ কিংবা স্বার্থ থাকতে পারে। বিশেষ করে ছাত্ররাজনীতির মাঠে যারা দীর্ঘদিন সক্রিয়, তাদের অনেকেই বলছেন— ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাম্প্রতিক সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে, বিশেষত হল-ভিত্তিক সংগঠন ও ধর্মীয় মূল্যবোধসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে। এই প্রেক্ষাপটে একটি শক্তিশালী নির্বাচন হলে শিবির বড় ধরনের সফলতা পেতে পারে— এমন আশঙ্কা ছাত্রদলসহ অন্যান্য কিছু সংগঠনের মধ্যে তৈরি হয়েছে।
অনেক শিক্ষার্থীর ধারণা, ছাত্রদল বর্তমানে ক্যাম্পাসে সাংগঠনিকভাবে তেমন সক্রিয় না হলেও, তারা চায় না এমন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, যেখানে শিবির অংশ নিয়ে বৈধভাবে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। ফলস্বরূপ, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আইনি জটিলতা সৃষ্টি করাকে অনেকে ছাত্রদলের কৌশল হিসেবেই দেখছে— যাতে নির্বাচনের সময়সীমা পেছানো যায় কিংবা পুরো প্রক্রিয়াটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়। যদিও আদালতের সর্বশেষ নির্দেশনার মাধ্যমে এই বাধা আপাতত কেটে গেছে এবং ৯ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঠিক রয়েছে, তবুও শিক্ষার্থীদের মাঝে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে: প্রকৃতপক্ষে কারা চায় ডাকসু নির্বাচন, আর কারা চায় না?
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শফিকুর রহমান