
সম্প্রতি রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের হাতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলা দেশব্যাপী তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই হামলা শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত আক্রমণ নয়, বরং এর মাধ্যমে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় পার্টি অতীতে আওয়ামী লীগের প্রধান সহযোগী দল হিসেবে পরিচিত ছিল। বর্তমানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে থাকলেও, জাতীয় পার্টি তাদের রাজনৈতিক প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। ভিপি নুরের ওপর হামলার মাধ্যমে তারা সরকারের বিরোধী শক্তিকে দমন করতে চাচ্ছে, যা আওয়ামী লীগের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি কৌশল হতে পারে।
এই হামলার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে, যেখানে তারা জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে। তারা বলছেন, এই হামলা শুধুমাত্র ভিপি নুরের ওপর নয়, বরং ২০১৮ সালের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সকল নেতাকর্মীর ওপর আক্রমণ।
জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা এবং ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনা রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি দলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি সংকেত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শফিকুর রহমান