
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার সাত আসামিকে আদালতে তোলা হয় এবং বিচারক তাঁদের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে তদন্ত চালাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন কাছাকাছি এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডে আটজনের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আরেকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
র্যাব কিশোরগঞ্জ থেকে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের দাবি, হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে এবং এতে একাধিক ব্যক্তি অংশ নেয়। তবে ঘটনার মূল উদ্দেশ্য ও পেছনের কারণ উদঘাটনে এখনো তদন্ত চলছে।
এদিকে, তুহিন হত্যার ঘটনায় সাংবাদিক মহল ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং দ্রুত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। নিহত তুহিন গাজীপুর অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা করছিলেন এবং স্থানীয় নানা সমস্যা, অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর নিয়মিত প্রকাশ করতেন। তাঁর মৃত্যুতে সহকর্মীদের মধ্যে শোকের পাশাপাশি ক্ষোভও দেখা দিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য ও সংশ্লিষ্ট সকলের নাম প্রকাশ করা হবে। স্থানীয়রা মনে করছেন, পেশাগত কারণে অথবা ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। তবে চূড়ান্ত সত্য জানা যাবে তদন্ত শেষে।
প্রতিবেদনঃ শফিকুর রহমান