চবিতে শিক্ষার্থী-স্থানীয়দের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ

রোববার (৩১ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইট সংলগ্ন এলাকায় ফের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এই দ্বিতীয় দফার সংঘর্ষটি এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, এলাকায় থাকা যেকোনো মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছুটছে। উভয়পক্ষ একে অপরের ওপর ইট-পাটকেল ছুঁড়ে অবিরাম হামলা চালাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী বাধ্য হয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে গুলি ছুড়ে।

কিন্তু স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতিকারী চারদিক থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়, ফলে শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সংঘর্ষের লড়াই এতটাই তীব্র যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও – উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং প্রক্টর – আহত হয়েছেন।

প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, এই দ্বিতীয় দফার সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী গুরুতর ও মাঝারি আঘাত পেয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উত্তেজনার জেরে এলাকাটি যেন যুদ্ধক্ষেত্রের রূপ নেয়ার উপক্রম; চারপাশে পড়ে থাকা ইটপাটকেল, ভাঙাচোরা গাড়ি এবং চিৎকার-হাহাকার মিলিয়ে একটি ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সংঘর্ষের সময় শিক্ষার্থীদের আশ্রয় নেওয়ার জায়গা ছিল না, এবং পুরো এলাকা ধোঁয়া-ধুলো আর রক্তে ভেসে ওঠে। নিরাপত্তা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও, পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, এবং আগামী কয়েক ঘণ্টা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *