
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সমাপ্ত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন নিয়ে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো বেশ কিছু কর্মকাণ্ড হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) কর্তৃক দেওয়া একটি নির্দেশনা। তার দাবি অনুযায়ী, প্রো-ভিসি রিটার্নিং অফিসারকে নির্বাচনের দিনে গোপনে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যেন মোট ব্যালটের মধ্যে ১০ শতাংশ আলাদা করে রেখে দেওয়া হয়। এ ধরনের নির্দেশনা স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য বড় ধরনের হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, নির্বাচন শুরুর আগে কর্তৃপক্ষ প্রথমে জানিয়েছিল যে ব্যালটের সংখ্যা হবে ভোটার তালিকা অনুযায়ী, অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্যালটই থাকবে। কিন্তু পরে দেখা যায় ভোটকেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে প্রকৃত ভোটারের সংখ্যার তুলনায় অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ব্যালট পেপার। তার ভাষ্য অনুযায়ী, এটি শুধু অবৈধ নয়, বরং নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করে। কারণ অতিরিক্ত ব্যালট রাখা মানেই সেখানে জালিয়াতির সুযোগ তৈরি করা।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। প্রো-ভিসির নির্দেশনা আসার পরও কেন সেই ব্যালট সংরক্ষিত রাখা হলো, কিংবা কেন তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে শিক্ষকদের কাউকে জানানো হলো না, সে প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারেননি। নজরুল ইসলামের মতে, এমন কর্মকাণ্ড গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে কলঙ্কিত করেছে এবং ছাত্রসমাজের আস্থাকে নষ্ট করেছে।
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম এই ঘটনার স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছেন। তার মতে, নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হতো তবে এমন গোপন নির্দেশনা দেওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়ত না। তাই তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন যে, তারা যেন দ্রুত এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেন এবং যদি অনিয়ম হয়ে থাকে তবে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
প্রতিবেদনঃ শফিকুর রহমান