প্রশাসনে সক্রিয় আওয়ামী লীগ, নিরাপত্তার ঝুঁকিতে বিএনপি ও অন্যান্য দল

২০২৪ সালের ৫ই আগস্টে পতিত সরকার সৈরাচারী শেখ হাসিনার দল আওামিলীগ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাদের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল মিটিং করতে দেখা যাচ্ছে। যদিও দলটি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত, তবুও তাদের প্রভাব ও উপস্থিতি প্রশাসনের নানা স্তরে দেখা যাচ্ছে।

বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ভাষ্যমতে, এ অবস্থার কারণে তারা নিরাপত্তার বড় ঝুঁকিতে রয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীরা প্রায়ই হয়রানি ও হামলার শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে বিদেশে থাকা রাজনৈতিক নেতারাও একই ধরনের হুমকি ও আক্রমণের মুখোমুখি হচ্ছেন।

সম্প্রতি নিউইয়র্কে এনসিপি, বিএনপি ও জামাত নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নের সম্মুখীন করতেছে। এটা প্রতীয়মাণ হচ্ছে যে, এখনো প্রশাসনসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অধিকাংশই আওয়ামিলীগের লোকজন রয়েছে। যারা আওয়ামিলীগকে ফিরিয়ে আনতে সক্রিও ভূমিকা পালণ করে যাচ্ছেন।

প্রশাসন থেকে এসব আওয়ামি আমলাদের সরানো না গেলে, অচিরেই দেশের সার্ভবৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে। বিএনপিসহ অন্যান্য দলের নেতাকর্মীদের উপর আবারো নেমে আসতে পারে জেল-জুলুম, ঘুম, খুনের মথ ভয়ংকর বিপর্যয়। যা গত ১৭ বছর এদেশের মানুষ তীলে তিলে ভোগ করেছিল।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রশাসনে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে বিরোধী দলগুলো স্বাধীনভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারবে না। নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাবি।

প্রতিবেদনঃ শফিকুর রহমান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *