বাক-স্বাধীনতা কোথায়?

কাজী তৌফিক এলাহী তারেক: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এ দেশের জনগনের আশা-আলোর বাতিঘর। বাংলাদেশের মানুষ আওামীলগে তাঁদের জীবনের নিরাপত্তা খুঁজে পায়,সাধারন জনতা সেখানে শান্তি আর স্বস্তি ফিরে পায়।

বঙ্গবন্ধু এদেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে বাস করেন দল-মত-বর্ন ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে। বঙ্গবন্ধুকে মানুষ ভলোবাসে তাদের হৃদয় নিঙ্গড়িয়ে। সুতরাং সেই ভালোবাসার জায়গা থেকে গত ১৫ আগষ্ট ২০২৫ তার সমাধিতে ফুল দিতে যান একজন মুজিব ভক্ত। বিভিন্ন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের সহায়তায় জানতে পারি ঐ অকুতোভয় ব্যক্তির নাম আজিজুর রহমান। তিনি সেখানে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ব্যক্তিবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাতে ফুল নিয়ে যান।

অতঃপর ইউনুস সরকারের পুলিশ বাহিনী তাঁকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়। আজ একটি সংবাদ মাধ্যমে দেখলাম সাহী সেই আজিজুরকে তারা মার্ডার মামলার আসামী করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন!

কি এক আজব কথা! একটা মানুষ কি তার প্রিয় মানুষকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারবে না? সে কি তার মনের কথা অবলিলায় ব্যক্ত করতে পারবে না? সে কি তার বাক স্বাধীনতার চর্চা করতে পারবে না? তাঁর আওয়ামীলীগকে সমর্থন করা, শেখ মুজিবকে ভালোবাসা কি আদৌ কোনো অপরাধ?

তাহলে আজ বলা হচ্ছে বাংলাদেশে তথাকথিত বাক স্বাধীনতা আছে। তাহলে এই কি সেই তথাকথিত বাক স্বাধীমনতার নমূনা? একটা মানুষ কি তার মন ও প্রান খুলে কথা বলতে পারবে না! তার কার্যক্রম সে চালাতে পারবে না!

এ যেন এক অন্ধকার অধ্যায় পাড় করছে প্রিয় বাংলাদেশ। কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, নিজের মতাদর্শ তুলে ধরার অধিকারকে ছিন্ন করা হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার কে খর্ব করা হচ্ছে।

স্রফ আওয়ামীলীগ কে সাপোর্ট করার কারনে মানুষকে দিনদুপুরে হত্যা করাকে ইন্টেরিম বৈধতা দিয়েছে। অন্যায়ভাবে মানুষকে জেলে ভরা হচ্ছে। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে লুন্ঠন করা হচ্ছে যা স্পষ্টই মনাবধিকার লঙ্গনের মধ্যেই পড়ে।

এই দায় কি ইন্টেরিম নেবে না? নাকি আওয়ামীলীগকে মার্ডার করার বৈধতা তারা দিবে- প্রশ্ন থেকে গেল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *