মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা — নেপথ্যে আওয়ামী লীগের নীলনকশা?

মাসুদা আক্তার: মাইলস্টোন স্কুলসংলগ্ন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় গোটা জাতি স্তব্ধ। শিক্ষার্থীদের ক্লাস চলাকালীন, মাথার উপর দিয়ে এক বিমানের বিকট শব্দ হঠাৎ করে থেমে যায়—এরপরই ঘটে বিভীষিকাময় বিস্ফোরণ। স্কুল ভবনের পাশেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়, ছিটকে পড়ে ধ্বংসাবশেষ, ঘন ধোঁয়া, আর আকাশমুখী আগুনের শিখা।

এই দুর্ঘটনায় কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক নিহত ও আহত হয় এবং পুরো স্কুলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভীতিকর আতঙ্ক। শিক্ষক-শিক্ষিকা আর শিশুদের কান্না, চিৎকারে বিদীর্ণ হয়ে যায় সকালটা। কিন্তু এটুকুই কি ঘটনাটির শেষ? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আরও গভীর চক্রান্ত?

বিমানটির যাত্রাপথ এবং তার বহনকারী যাত্রীদের পরিচয় ঘাঁটলেই স্পষ্ট হয়—বিমানে ছিলেন একজন গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও তার পরিবার। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে একটি প্রশিক্ষিত, নিয়মিত রুটিনে চলা বিমান এভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঠিক পাশেই বিধ্বস্ত হয়?

বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি কেবল দুর্ঘটনা নয়, এটি ছিলো একটি পরিকল্পিত ‘টার্গেট মিশন’, যেখানে নিরীহ শিশুদের সামনে একটি ভয়াবহ দৃশ্য সৃষ্টি করে বিরোধী পক্ষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে ইতোমধ্যেই নানা মহলে ফিসফাস শুরু হয়েছে। অতীতেও বিরোধী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি, গুম, হুমকির অভিযোগ উঠেছে, এবার কি তারই সর্বশেষ রূপ?

দুর্ঘটনার পর পরই সরকারি প্রশাসনের তড়িঘড়ি “তদন্ত কমিটি” গঠন এবং মিডিয়ায় ‘বিতর্কিত’ ব্যাখ্যা—সব মিলিয়ে জনমনে সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়েছে। যেই জায়গায় শিশুদের শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা, সেই স্থানেই রাষ্ট্রীয় চক্রান্তের বিস্ফোরণ—এ যেন গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক!

জাতির কাছে প্রশ্ন:
এই দুর্ঘটনা কি শুধুই কাকতালীয়? নাকি আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক, যার মঞ্চ হলো স্কুল, আর দর্শক সারিতে নিস্পাপ কোমলমতি শিশুরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *